Vivo iQOO Z10x দাম কত ? সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন ও ফিচার সমূহ দেখুন

Vivo iQOO Z10x আসছে ২০২৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের মার্কেটে। রিউমর্ড এই স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ২০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি কারেন্সিঅনুযায়ী), যা মিড-রেঞ্জ বাজারে উচ্চ পারফরম্যান্সের দাবিদার। ৫জি সাপোর্ট, বিশাল ব্যাটারি ও গেমিং-ফ্রেন্ডলি ফিচারস নিয়ে এই ডিভাইসটি হতে যাচ্ছে বাজেট ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় অপশন।

Vivo iQOO Z10x দাম কত

Vivo iQOO Z10x দাম, ফুল স্পেসিফিকেশন, ফিচার

দাম ও ভ্যারিয়েন্ট:

Vivo iQOO Z10x বাংলাদেশে লঞ্চ হবে ১২৮জিবি/৬জিবি র‌্যাম এবং ২৫৬জিবি/৮জিবি র‌্যাম ভ্যারিয়েন্টে। উভয় মডেলের মূল্য ২০,০০০ টাকার আশেপাশে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কম দামে ৫জি নেটওয়ার্ক, মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩০০ চিপসেট ও ১২০Hz ডিসপ্লের কম্বিনেশন এই ফোনটিকে প্রতিযোগী বাজারে এগিয়ে রাখবে।

Vivo iQOO Z10x ভালো দিক:

১. ৫জি নেটওয়ার্ক: 1, 3, 5, 28, 41, 77, 78 ব্যান্ডে ৫জি সাপোর্টের মাধ্যমে হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও ফিউচার-প্রুফ কানেক্টিভিটি।
২. বড় ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জিং: ৬৫০০mAh ক্ষমতার ব্যাটারি সহ ৪৪W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টে মাত্র ৪০ মিনিটে ৫০% চার্জ! ফুল চার্জে ২ দিনের ব্যাকআপ আশা করা যায়।
৩. স্মুথ ডিসপ্লে: ৬.৭২ ইঞ্চির IPS LCD প্যানেল, ১২০Hz রিফ্রেশ রেট ও ১০৫০ নিটস ব্রাইটনেসে গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে ফ্লুইড এক্সপেরিয়েন্স।
৪. গেমিং পারফরম্যান্স: মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩০০ চিপসেট (৪nm) এবং Mali-G615 GPU দিয়ে PUBG, Free Fire-এর মতো গেমস High Settings-এ রান করানো সম্ভব।
৫. আইপি৬৫ রেটিং: ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট (লো প্রেশারের পানিতে সুরক্ষিত), যা দৈনন্দিন ব্যবহারে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়।

কিছু সীমাবদ্ধতা:

  • ক্যামেরা: ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ (৫০MP প্রাইমারি + ২MP ডেপথ) এবং ১৬MP সেলফি ক্যামেরা। লো-লাইটে পারফরম্যান্স এভারেজ হতে পারে।
  • NFC সাপোর্ট: কিছু মার্কেটে NFC নেই, যা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারকারীদের জন্য অসুবিধাজনক।

কাদের জন্য উপযুক্ত?

  • যারা ২০,০০০ টাকার মধ্যে ৫জি ফোন চান।
  • গেমার্স যারা বাজেটে হাই পারফরম্যান্স চাইছেন।
  • যারা লম্বা ব্যাটারি ব্যাকআপ ও ফাস্ট চার্জিং প্রাধান্য দেন।
  • ডুয়াল সিম ইউজার্স যারা হেভি মাল্টিটাস্কিং করেন।

২০২৫ সালের এপ্রিলে লঞ্চ হওয়া Vivo iQOO Z10x হতে পারে ১৫-২৫ হাজার টাকা রেঞ্জের সেরা ৫জি ফোন। গেমিং, ব্যাটারি লাইফ ও ডিসপ্লে ক্যাপাবিলিটির জন্য এটি এই প্রাইস রেঞ্জে কম্পিটিটরদের চেয়ে এগিয়ে। তবে, ক্যামেরা বা NFC-এর মতো ফিচারসে কিছু কম্প্রোমাইজ থাকলেও মূল্য-কার্যকারিতার অনুপাত ভালো। আপনার বাজেট যদি ২০K টাকার মধ্যে থাকে এবং ৫জি-সহ ফিউচার-রেডি ফোন চান, তাহলে আইকিউ ও জেড১০এক্স আপনার ওয়েটলিস্টে রাখতে পারেন।

Disclaimer

We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date. Read More.

আমি রনি , একজন প্রযুক্তিপ্রেমী। এই ওয়েবসাইটে আমি নতুন সব গ্যাজেট, সফটওয়্যার আর অ্যাপ নিয়ে কথা বলি। আমার লক্ষ্য হলো জটিল টেকনোলজিকে সহজ ভাষায় তোমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তোমরাও এই ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারো।

Leave a Comment