বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন হিসেবে Vivo Y03t বাজারে এসেছে, যা এর মূল্য এবং ফিচারের তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স দিচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ফোনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা অসুবিধা গুলো।
Vivo Y03t এ রয়েছে ৬.৫৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ এবং সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস ৫২৮ নিট। ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবির ইন্টারনাল স্টোরেজের অপশন রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট স্থান প্রদান করবে। শক্তিশালী ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাথে বিল্ট-ইন এফএম রেডিও সুবিধা এই মডেলকে আরও আকর্ষণীয় করেছে।
Vivo Y03t
Vivo Y03t এর কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে বড় ডিসপ্লে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং স্টোরেজ অপশন। তবে, এর সীমাবদ্ধতা গুলোর মধ্যে রয়েছে Unisoc T612 প্রসেসর, ৫জি নেটওয়ার্কের অভাব, মাত্র ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, এবং কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর না থাকা।
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট এই মডেলটি ঘোষণা করা হয় এবং একই দিনে বাজারে ছাড়া হয়। ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজের অফিসিয়াল দাম রাখা হয়েছে ১১,৯৯৯ টাকা।এই ফোনটি ২জি, ৩জি এবং ৪জি সমর্থন করে। HSPA ও LTE গতির সাথে ব্যবহারকারীরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ফোনটির বডি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যেখানে রয়েছে ডুয়াল সিম সাপোর্ট। এর আকার ১৬৩.৬ x ৭৫.৬ x ৮.৪ মিমি এবং ওজন ১৮৫ গ্রাম। ফোনটি IP54 রেটিং প্রাপ্ত, যা ধুলো এবং পানির ছিটেফোটা থেকে কিছুটা সুরক্ষা প্রদান করে।Vivo Y03t এর প্রধান ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেল, যা LED ফ্ল্যাশ ও প্যানোরামা মোডের সুবিধা দেয়। সেলফির জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা ভিডিও রেকর্ডিং সক্ষম।
ফোনটিতে লাউড স্পিকার এবং ব্লুটুথ ৫.২ আছে, তবে ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক নেই। চার্জিং ও ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে USB টাইপ-C ২.০।৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫ ওয়াটের তারযুক্ত চার্জিং ক্ষমতা যুক্ত করেছে এই ফোনে, যা দীর্ঘ সময়ের ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করে।
বাজেট রেঞ্জের মধ্যে Vivo Y03t একটি সাশ্রয়ী ফোন হলেও ৫জি সাপোর্টের অভাব ও মিড-রেঞ্জ প্রসেসরের কারণে এটি তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী। তবে বড় ব্যাটারি ও ডিসপ্লের জন্য এটি দৈনন্দিন ব্যবহারে বেশ উপযোগী।
Disclaimer
We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.
Read More.
Roni
আমি রনি , একজন প্রযুক্তিপ্রেমী। এই ওয়েবসাইটে আমি নতুন সব গ্যাজেট, সফটওয়্যার আর অ্যাপ নিয়ে কথা বলি। আমার লক্ষ্য হলো জটিল টেকনোলজিকে সহজ ভাষায় তোমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তোমরাও এই ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারো।