Vivo iQOO Neo11:এর নাম শোনার পর থেকেই টেক এনথুসিয়াস্টদের মধ্যে কৌতূহলের ঝড় উঠেছে! এই স্মার্টফোনটি এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করা হলেও রিউমার্স অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে বাংলাদেশে লঞ্চ হতে পারে। নেটওয়ার্ক টেকনোলজির দিক থেকে ডিভাইসটি ৫জি সাপোর্টসহ জিএসএম, সিডিএমএ, এইচএসপিএ, এবং এলটিই-র মতো সব মডার্ন কানেক্টিভিটি অফার করবে।
৬.৭৮ ইঞ্চির এলটিপিও অ্যামোলেড ডিসপ্লেটি হবে অন্যতম হাইলাইট ১২৬০ x ২৮০০ পিক্সেল রেজোলিউশন এবং ১ বিলিয়ন কালার সাপোর্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পাবেন অসাধারন ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।
Picture: Vivo iQOO Neo10 (China) |
Vivo iQOO Neo11 Price In Bangladesh
পাওয়ারহাউস হিসেবে কাজ করবে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ (৪ ন্যানোমিটার) চিপসেট, যা অ্যান্ড্রয়েড ১৫ এর সঙ্গে মিলে তৈরি করবে ঝটপট পারফরম্যান্স। ১২/১৬ জিবি র্যাম এবং ২৫৬/৫১২ জিবি বা ১টিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের অপশন থাকায় মাল্টিটাস্কিং এবং হেভি গেমিংয়ে এই ডিভাইস হতে পারে আদর্শ।
ক্যামেরা সেকশনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ও ৮ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর সমৃদ্ধ ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ থাকবে, যার সাহায্যে ৮কে ভিডিও রেকর্ডিং সম্ভব। ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরাটিও এই যুগের চাহিদা মেটাতে এচডিআর এবং প্যানোরামা মোড সাপোর্ট করবে।
৫,১৬০ এমএএইচের বিশাল ব্যাটারি সঙ্গে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় ডিভাইসটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারের সুবিধা দেবে। তবে এতে ৩.৫মিমি জ্যাক বা এফএম রেডিও সাপোর্ট নেই এটি কিছু ব্যবহারকারীর জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে। ডিজাইনের দিক থেকে কালার অপশন হিসেবে ব্ল্যাক, ব্লু ও রেড—এই তিনটি ভ্যারিয়েন্ট আসছে বলে জানা গেছে।
Vivo iQOO Neo11 এর দাম এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বাংলাদেশে তিনটি ভ্যারিয়েন্টে (১২/১৬জিবি র্যাম + ২৫৬/৫১২জিবি/১টিবি) আসার সম্ভাবনা রয়েছে। টেক স্পেসের দিক থেকে এই ফোনটি নিঃসন্দেহে একটি গেম-চেঞ্জার হতে চলেছে, তবে প্রাইস ও ফিচার গুলোর ফাইনাল কনফার্মেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে লঞ্চ পর্যন্ত।