ZTE nubia Focus 2 ২০২৫ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে ZTE nubia Focus 2। আনুমানিক ২০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে এই ডিভাইসটি, যা মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে আকর্ষণীয় ফিচারস এবং পারফরম্যান্সের সংমিশ্রণ নিয়ে হাজির হচ্ছে। 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, 120Hz রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে, শক্তিশালী ব্যাটারি এবং আধুনিক অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের মতো হাইলাইটস এই ফোনটিকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ZTE nubia Focus 2 |
ZTE nubia Focus 2 ফুল স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
মাত্র ৮ মিমি পুরুত্বের আলট্রা-স্লিম বডি ডিজাইনের ZTE nubia Focus 2 হাতে নিলেই চোখে পড়বে এর প্রিমিয়াম লুক। ৬.৭ ইঞ্চির IPS LCD প্যানেলে 720×1600 পিক্সেল রেজোলিউশন এবং 120Hz রিফ্রেশ রেট থাকায় গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে থাকবে ফ্লুইড এক্সপেরিয়েন্স। 1000 নিটসের HBM ব্রাইটনেস সহযোগে সানলাইটেও ডিসপ্লে কন্টেন্ট দেখা যাবে স্বচ্ছভাবে।
এই ফোনটি চালাবে অ্যান্ড্রয়েড 15 অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউনিসোক T760 (6nm) চিপসেট। অক্টা-কোর প্রসেসরের (4×2.2 GHz Cortex-A76 + 4×2.0 GHz Cortex-A55) ও Mali-G57 GPU থাকায় সাধারণ ব্যবহার, মাল্টিটাস্কিং এবং লাইট গেমিংয়ে পারফরম্যান্স স্মুথ হবে। 8GB RAM ও 256GB ইন্টারনাল স্টোরেজের মাধ্যমে ইউজাররা পর্যাপ্ত স্পেস এবং ফ্লুইড মাল্টিটাস্কিং উপভোগ করবেন।
ZTE nubia Focus 2 এর ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে 108MP প্রাইমারি সেন্সর, যা হাই-রেজোলিউশন ফটোগ্রাফি এবং 4K@30fps ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে। 16MP ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য যথেষ্ট ক্লিয়ারিটি পাবেন ব্যবহারকারীরা। অন্যদিকে, 5000mAh বিশাল ব্যাটারি এবং 22.5W ফাস্ট চার্জিং থাকায় ডিভাইসটি দীর্ঘসময় চার্জ ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য।
বিশেষ ফিচারস:
- ডুয়াল ন্যানো-সিম স্লট (5G সাপোর্ট সহ)।
- IPS প্যানেলে 120Hz রিফ্রেশ রেট।
- সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
- টাইপ-সি পোর্ট এবং লাউড স্পিকার।
কিছু সীমাবদ্ধতা:
ইউনিসোক T760 চিপসেট মিড-রেঞ্জ ডিভাইসের জন্য যথেষ্ট হলেও হেভি গেমিংয়ে পারফরম্যান্স একটু লিমিটেড মনে হতে পারে। এছাড়া, 720p রেজোলিউশনের ডিসপ্লে কিছু ইউজারের কাছে কম শার্প মনে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ZTE nubia Focus 2 মূলত তাদের টার্গেট করছে যারা 5G কানেক্টিভিটি, লং লাস্টিং ব্যাটারি এবং স্মুথ ডিসপ্লে সহ একটি ব্যালেন্সড স্মার্টফোন খুঁজছেন। আনুমানিক ২০,০০০ টাকার প্রাইস পয়েন্টে এই ফোনটি বাংলাদেশের মার্কেটে স্টোরেজ, ক্যামেরা এবং ব্যাটারির দিক থেকে আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসতে পারে। রিলিজের পর ইউজার রিভিউ এবং চূড়ান্ত পারফরম্যান্স টেস্টই এর সাফল্য নির্ধারণ করবে।