ZTE nubia Neo 3 স্মার্টফোনটি ২০২৫ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং একই বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাজারে আসার কথা রয়েছে। গেমারদের টার্গেট করে ডিজাইন করা এই ডিভাইসটির মূল আকর্ষণ হলো এর গেমিং-ফ্রেন্ডলি ফিচার্স, শক্তিশালী ব্যাটারি এবং ৫G সাপোর্ট। বাংলাদেশে এর এক্সপেক্টেড প্রাইস রাখা হয়েছে ২৫,০০০ টাকা (৮জিবি র্যাম ভেরিয়েন্ট), যা মিড-রেঞ্জ বাজারে প্রতিযোগিতামূলক বলে মনে করা হচ্ছে।
ZTE nubia Neo 3 |
ZTE nubia Neo 3 ফুল স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
ZTE nubia Neo 3 এর ডিজাইনে রয়েছে RGB ব্যাকলাইট এবং প্রেশার সেনসিটিভ গেমিং ট্রিগার, যা মোবাইল গেমিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও ইমার্সিভ করে তোলে। ৬.৮ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লেটি 120Hz রিফ্রেশ রেট ও 1000 নিটস ব্রাইটনেস সমর্থন করে। ফুল এইচডি+ রেজোলিউশন (1080 x 2392 পিক্সেল) এবং 386 PPI ডেনসিটির মাধ্যমে গেম বা কনটেন্ট দেখার সময় আপনি পাবেন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভিজুয়াল অভিজ্ঞতা।
ডিভাইসটিতে ইউনিসোক T8300 (6nm) চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে, যার অক্টা-কোর সিপিইউ (২x2.2 GHz Cortex-A78 + ৬x2.0 GHz Cortex-A55) এবং Mali-G57 MP2 জিপিইউ গেমিং ও মাল্টিটাস্কিংয়ে স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেমে রান করা এই ফোনে রয়েছে ৮জিবি র্যাম, তবে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
ZTE nubia Neo 3 এর ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে 50MP প্রাইমারি সেন্সর (f/1.8 অ্যাপারচার) এবং 2MP ডেপথ সেন্সর। ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে 1080p@30fps। সেলফির জন্য আছে 16MP ফ্রন্ট ক্যামেরা। ব্যাটারির ক্ষেত্রে 6000mAh (কিছু সোর্সে 5000mAh উল্লেখ আছে) বিশাল ক্ষমতার লি-পো ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা 33W ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত চার্জ হয়।
অন্যান্য ফিচার্স:
- ৫G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট।
- স্টেরিও স্পিকার ও আনডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
- ডুয়াল ন্যানো-সিম স্লট এবং NFC (রিজিওন ডিপেন্ডেন্ট)।
- শ্যাডো ব্ল্যাক, সাইবার সিলভার ও টাইটানিয়াম গোল্ড তিনটি কালার অপশন।
প্রোস অ্যান্ড কনস:
- প্রোস: গেমিং-অপ্টিমাইজড ডিজাইন, 120Hz AMOLED ডিসপ্লে, 6000mAh ব্যাটারি, ৫G সাপোর্ট এবং স্টেরিও স্পিকার।
- কনস: ইউনিসোক প্রসেসর হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য আদর্শ নয়।
ZTE nubia Neo 3 মূলত গেমার ও হার্ডকোর ইউজারদের টার্গেট করে তৈরি। 120Hz ডিসপ্লে, গেমিং ট্রিগার এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির কম্বিনেশন এটিকে মিড-রেঞ্জে আকর্ষণীয় অপশন করে তুলেছে। তবে প্রসেসরের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকলেও, মূল্য-কার্যকারিতার অনুপাত বিবেচনায় এটি বাংলাদেশি মার্কেটে সাড়া জাগাতে পারে।